বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন আজ বুধবার। বন্দরনগরীর দায়িত্ব যাবে কার হাতে সেটি নির্ধারণ করতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর।
নির্বাচনে ভোট দেবেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে দায়িত্বে থাকবে মোট ১৪ হাজার ৩৭০ জন র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য। ২৫ প্লাটুন বিজিবি সোমবার থেকেই টহল দিচ্ছে নগরীর বিভিন্ন সড়কে।
মেয়র পদে সাতজন ও কাউন্সিলর পদে ২২৯ জন প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৭৩৫ ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে মঙ্গলবার নির্বাচনসামগ্রীও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাত প্রার্থী। তবে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন। গণসংযোগেও নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ছুটেছেন তারা।
তবে সদ্য সাবেক হওয়া ৯ কাউন্সিলর বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে থাকায় টেনশন বেড়েছে প্রশাসনের। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন ও দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের চরম চাপ, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরে যাননি তারা। এখনও লড়াইয়ে আছেন ৯ সাবেক কাউন্সিলর। তারা হলেন- ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ২ নম্বর জালালাবাদে সাহেদ ইকবাল বাবু, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলীতে জহুরুল আলম জসীম, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলীতে মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে সাবের আহমেদ, ১৪ নম্বর লালখান বাজারে এফ কবির মানিক, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে এইচএম সোহেল, ২৮ নম্বর পাঠানটুলীতে আব্দুল কাদের ও ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজারে হাসান মুরাদ বিপ্লব।
সাধারণ ছুটি না থাকলেও নির্বাচন উপলক্ষে নগরের দুটি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) সব কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, চসিক নির্বাচনে সাত হাজার ৭৭২ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সেই সঙ্গে ২৫ প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাবের ৪১টি টিম থাকবে। পুলিশের রিজার্ভ টিম ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে নির্বাচনী এলাকায়। গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ৪১৬টি কেন্দ্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১৮ জন করে এবং সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রথমবারের মতো চসিক নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। আশা করছি ভোট গ্রহণে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না।